সংকলনে – আবদুর রহমান
হাদিস হলো ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান উৎস যা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কথাবার্তা, কাজকর্ম, এবং তাঁর দ্বারা অনুমোদিত অন্যদের কাজের বিবরণ সরবরাহ করে। এটি কোরআনের পরেই মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে গণ্য হয়। হাদিসের মাধ্যমে মুসলিমরা নবীর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং তাদের জীবন পরিচালনার নীতিমালা পায়। ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান ও সামাজিক নিয়মাবলী বোঝার জন্য হাদিস অপরিহার্য।
হাদিস মূলতঃ-
১. কুরআনের ব্যাখ্যা: হাদিস কুরআনের আয়াতগুলির ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে সহায়ক।
২. ইসলামী আইন: হাদিস ইসলামী আইনের দ্বিতীয় উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩. নৈতিক শিক্ষা: হাদিস থেকে নৈতিক শিক্ষা ও আদর্শ জীবনযাপন শেখা যায়।
৪. ইবাদতের নিয়ম: ইবাদতের সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম হাদিস থেকে জানা যায়।
৫. সামাজিক জীবন: পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়গুলো হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে।
৬. আখলাক ও চরিত্র গঠন: হাদিসের মাধ্যমে উত্তম আখলাক ও চরিত্র গঠন করা যায়।
৭. ঐতিহাসিক প্রমাণ: হাদিস নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
৮. মুসলিম উম্মাহর ঐক্য: হাদিস মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে।
এই কারণে, হাদিস ইসলামে অত্যন্ত মূল্যবান ও অপরিহার্য।
নিম্নে বহুল প্রচলিত ৫০টি হাদিস প্রদান করা হলো:
- “ইন্নামাল আ‘মালু বিন্নিয়াত“ অর্থাৎ, সকল কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। (বুখারি, মুসলিম)
- “আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না, যদিও তোমার টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় এবং জ্বলন্ত আগুনে পুড়ে ফেলা হয়।“ (ইবন মাজাহ)
- “কেউ পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য যা পছন্দ করে, তা নিজেও পছন্দ করে।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়। যে তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়।“ (বুখারি)
- “মুসলিম হল সেই ব্যক্তি যার হাত ও মুখের দ্বারা অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “ঈমান হল, আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, শেষ দিবস এবং তাকদীরে বিশ্বাস রাখা।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “সত্যবাদিতা সৎপথে নিয়ে যায় এবং সৎপথ জান্নাতে নিয়ে যায়।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “অন্যায়ের সাথে না থাক এবং মিথ্যার সাথে সঙ্গ দিও না।“ (তিরমিজি)
- “আল্লাহ্ তা‘লা সহনশীলতাকে ভালোবাসেন এবং তিনি ধীরস্থিরতাকে বরকতময় করেন।“ (মুসলিম)
- “এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই, সে তাকে অত্যাচার করে না এবং তাকে (দুর্যোগে) একা ফেলে রাখে না।“ (মুসলিম)
- “যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।“ (বুখারি)
- “যে ব্যক্তি আরামপ্রদ একটি কথা বলে, সে যেন সদকা করল।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “মুসলিম হল সেই ব্যক্তি যার হাত ও মুখের দ্বারা অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “সত্যবাদিতা সৎপথে নিয়ে যায় এবং সৎপথ জান্নাতে নিয়ে যায়।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “অন্যায়ের সাথে না থাক এবং মিথ্যার সাথে সঙ্গ দিও না।“ (তিরমিজি)
- “এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই, সে তাকে অত্যাচার করে না এবং তাকে (দুর্যোগে) একা ফেলে রাখে না।“ (মুসলিম)
- “সত্যবাদী ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “অন্যের জন্য তা–ই পছন্দ কর যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ কর।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “অন্যায়ের সাথে সহাবস্থান করো না এবং মিথ্যার সাথে সঙ্গ দিও না।“ (তিরমিজি)
- “আল্লাহ তোমাদের সাথে সদয়, তোমরাও তোমাদের সাথে সদয় হও।“ (মুসলিম)
- “অন্যের ক্ষতি করে না এবং অন্যের দ্বারা ক্ষতি সহ্য করে না।“ (ইবন মাজাহ)
- “যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয়, সে হল সত্যবাদী।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “সত্যবাদী ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “যে ব্যক্তি মুমিন হয়ে সৎ কাজ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।“ (মুসলিম)
- “সততা রক্ষা কর এবং সত্য বল, তা–ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়।“ (তিরমিজি)
- “আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করেন, যদি তোমরা দয়া প্রদর্শন করো।“ (মুসলিম)
- “আল্লাহ তোমাদের মেহমানদের প্রতি সদয় হও।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়। যে তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়।“ (বুখারি)
- “সততা হল জান্নাতের পথ।“ (বুখারি, মুসলিম)
- “যে ব্যক্তি সত্যের উপর অটল থাকে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।“ (বুখারি)
- “আল্লাহ তোমাদের সৎ কাজের পুরস্কার প্রদান করবেন।“ (মুসলিম)
- “আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: ‘আমি তোমাদের কাছে দুইটি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা তা আঁকড়ে ধর, তবে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন) এবং অপরটি হলো আমার সুন্নাহ।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সে, যে কুরআন শেখে এবং শেখায়।“ (বুখারি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর সাথে ভাল ব্যবহার করে।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যে তার পরিবারের জন্য সবচেয়ে ভালো।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যার চরিত্র সবচেয়ে ভালো।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে মানুষের জন্য কল্যাণকর।“ (বুখারি)
- “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যে তার প্রতিবেশীর জন্য ভাল।“ (মুসলিম)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে তার পরিবারের সাথে ভাল ব্যবহার করে।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে মানুষকে ভালবাসে।“ (বুখারি)
- “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই, যার স্ত্রীর সাথে সবচেয়ে ভাল ব্যবহার।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ভাল।“ (মুসলিম)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যার স্ত্রীর সাথে সবচেয়ে ভাল ব্যবহার।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ভাল।“ (মুসলিম)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ভাল।“ (মুসলিম)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে মানুষের জন্য কল্যাণকর।“ (বুখারি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর সাথে সবচেয়ে ভাল ব্যবহার।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যার চরিত্র সবচেয়ে ভাল।“ (তিরমিজি)
- “তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যার চরিত্র সবচেয়ে ভাল।“ (তিরমিজি)
এই হাদিসগুলো মুসলিমদের জীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং তাঁদের ভালো জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও আদর্শ স্থাপন করে।